নিজস্ব প্রতিনিধি : এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে (আইসিসি মেন’স ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট ২০২৩) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত পাঁচটি ম্যাচে ও ম্যাচের আগের প্র্যাক্টিস সেশনগুলিতে সম্পুর্ন স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে ছিল কলকাতার উডল্যান্ডস সুপার স্পেসালিটি হাসপাতাল। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে স্টেডিয়ামে শুধু খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা নয় উপস্থিত দর্শকদেরও আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছে ঊডল্যান্ডস।
হাসপাতালের সত্তর বছরের ইতিহাসে বারে বারে খেলার মাঠে ও অন্যত্র বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করে এসেছে ঊডল্যান্ডস। সেই ঐতিহ্যের অনুসরনে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও কলকাতায় সরকারি ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী ও অন্যতম হেলথকেয়ার পার্টনার হিসাবে নির্বাচিত হয় উডল্যান্ডস। এই দায়িত্বপালনে ইডেনে অনুষ্ঠিত প্রতিটি ম্যাচে ও প্র্যাক্টিস সেশনে ছয়জন ডাক্তার, পুরুষ মহিলা নার্স, প্রযুক্তিবিদ ও অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীসহ উডল্যান্ডসের ষাট জনের একটি দল মাঠে উপস্থিত থাকতেন। প্রতিক্ষেত্রেই দুই ঘণ্টা আগে থেকে মাঠের বাইরে সদা প্রস্তুত থাকত ছটি অ্যাম্বুলেন্স। এই পরিষেবা শুধু খেলোয়াড়দের মাঠের মধ্যের চোট আঘাত, মাথাধরা বা ডিহাইড্রেশনে আবদ্ধ থাকেনি প্রয়োজনে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সার্বিক স্বাস্থ সুরক্ষার দায়িত্বও পালন করেছে উডল্যান্ডস। বিভিন্ন সময়ে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সয়েল, ফকির যামান,পাকিস্থানের মহমদ রফিকের মতো বিশ্ব বন্দিত খেলোয়াড় বিভিন্ন সময়ে উডল্যান্ডসে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন ও চিকিৎসা করিয়েছেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে ম্যাচের সময় ইডেনে খেলোয়াড়দের জন্য মেডিকেল রুম ছাড়াও স্টেডিয়ামের দুই প্রান্তে দুটি মিনি হাসপাতাল ও বিভিন্ন অংশে সাতটি প্রাথমিক চিকিৎসা কিয়স্ক খোলা হয়েছিল। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা,ও কর্মীরা ছাড়াও এই চিকিৎসা কেন্দ্র গুলিতে তিনশ সাধারন দর্শকের চিকিৎসা করা হয় । এর মধ্যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে প্র্যাক্টিসে শ্রেয়সের মারা একটি বল থেকে ডান চোখে আঘাতপ্রাপ্ত এক তরুনীও ছিলেন।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড উডল্যান্ডসের পরিষেবায় সন্তুষ্ট হয়ে হাসপাতাল মেডিক্যাল টিম ও মেডিক্যাল কোঅর্ডিনেটর তথা মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ড্যান্ট ডা সপ্তর্ষি বসুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উডল্যান্ডসের এই কর্ম দক্ষতার কথা দেশের অন্য ক্রিড়া কেন্দ্রগুলিতেও জানান হয়েছে এবং ইডেনের মেডিক্যাল রুমের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। বিশ্ব কাপ ক্রিকেটের মতো এক বিশাল কর্মকান্ডে বিশ্বমানের তারকা ক্রীড়াবিদ ও প্রতিটি ম্যাচের হাজার হাজার দর্শককে সুচারূরূপে ও সুষ্ঠভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পেরে উদল্যান্ডস গর্বিত। ‘আমরা আইপিএল ২০২৩ ও পিংক বল টেস্টের মেডিক্যাল পার্টনার ছিলাম ও ভবিষ্যতে আবার এই ধরণের বড় দায়িত্ব পেলে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব’ জানালেন উডল্যান্ডসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ডা রূপালী বসু।