গত বছরের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ এক জমি অধিগ্রহণ মামলায় জমিদাতা কে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছিলেন। তাও দু মাসের সময়সীমা বেঁধে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।দুমাসের জায়গায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছিলো না।তাই বাধ্য হয়ে আদালত অবমাননা মামলা দাখিল করেন জমিদাতা।চলতি সপ্তাহে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁর আগেকার নির্দেশিকা কার্যকর না হওয়ার জন্য একপ্রকার ক্ষোভ উগরে দেন।এবং দ্রুত নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেন।আদালতের এহেন নির্দেশে জমিদাতা আপাতত প্রায় দশ লক্ষ টাকা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল। প্রায় দু দশক পর মিললো আইনী জয়। দীর্ঘ ২৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন উত্তর দিনাজপুরের সন্তোষ বিশ্বাস।
উত্তর দিনাজপুর জেলার সন্তোষ বিশ্বাস এর জমি গত ২০০০ সালে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে ১৮৯৪ সালের ‘জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী’ অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। জমি অধিগ্রহণ হলেও কোনো রকম আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাননি অধিগৃহীত জমির মালিক সন্তোষ বিশ্বাস। ক্রমাগত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঘুরতে থাকেন দিনের পর দিন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর কে চিঠি পাঠিয়ে দেন তিনি। অবশেষে গত ২০১৪ সালে জেলাশাসক এর দপ্তরে আবেদন জানান তিনি। ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমিটি সরাসরি কিনে নেবার কথা বললেও কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ । অবশেষে মামলাকারী সন্তোষ বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর আইনজীবী বৈদুর্য ঘোষাল জানান- ‘মামলাটি বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জলসম্পদ দপ্তরের সচিব কে আগামী দুমাসের মধ্যে বিষয়টি দেখতে এবং সন্তোষ বিশ্বাস কে তার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।,তা কার্যকর না হওয়ার আদালত অবমাননা মামলা হয়।গত সোমবার আগেকার নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ‘। দীর্ঘ ২৩ বছর পর অবশেষে বিচার পেলেন সন্তোষ বিশ্বাস।
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন -‘ জলসম্পদ দপ্তরের সচিব উপযুক্ত ব্যাক্তি হিসেবে ঐ বিষয়টির তত্ত্বাবধান করবে’। দীর্ঘ ২৩ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখতে পেলেন এই মামলাকারী। চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে আদালত অবমাননা মামলায় এই নির্দেশ জারি হয়।