বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস 2024 উপলক্ষ্যে, সৌরভ সরকার পরিচালিত ডকুমেন্টারি ফিল্ম “ স্বার্থ সে পরে – ইলিমিটেবল সেলফ” এর প্রদর্শনী দর্শকের অন্তরকে গভীরভাবে স্পর্শ করে । ছবিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এক ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করেছে | তিনি ডঃ অনিল কৃ. কুন্দ্রা – হায়দ্রাবাদের উপকণ্ঠে একটি অটিজম ক্যাম্পাস তৈরি করার জন্য নিজের জীবনের মহোত্তম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। । চলচ্চিত্রটি অটিস্টিক ব্যক্তিদের আবেগ, যোগাযোগ এবং অদম্য উদ্যমকে চিত্রিত করে | অটিজম কোনো সুনির্দিষ্ট অসুখ বা রোগ নয়। এটি একটি গঠনমূলক অক্ষমতা হিসাবে চিহ্নিত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড: শমীক ঘোষ এই বিষয়ে আলোকপাত করেন, এবং শৈশবকালে দ্রুত চিহ্নিতকরণের উপর গুরুত্ব দেন। দ্রুত চিহ্নিতকরণ হলে অটিস্টিক শিশুকে অনেক সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া সম্ভব। চলচ্চিত্র নির্মাতা সৌরভ সরকার তাঁর ছবিতে ‘ভিন্নভাবে সক্ষম’ হওয়ার আনন্দময় উদযাপনের একটি শ্বাসরুদ্ধকর আবেগময় যাত্রার মধ্য দিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করেছেন। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার এবং ‘ভিন্নভাবে সক্ষম’দের অধিকারের বিষয়ে সামাজিক সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। কণ্ঠশিল্পী শ্রী সৃজন চ্যাটার্জী এই ছবির জন্য হিন্দিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সংগীত পরিবেশনার বিষয় পরিচালক সৌরভের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ছবিতে তার কণ্ঠসংগীত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।একইরকম মুগ্ধ করেছে শ্রুতি দের সরোদবাদন, যা এই ছবির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণকারী, শ্রী জয়দীপ চ্যাটার্জি, এই চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য তার আনন্দ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড: অনুপমা চৌধুরী এবং আইনজ্ঞ শ্রী ভাস্কর মুখার্জী। তাঁরা এবিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং মা- বাবাদের প্রশিক্ষণের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। সংশ্লিষ্ট আইনে অটিস্টিক ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার প্রভূত উল্লেখ থাকলেও, জনমানসে তা এখনো বিস্তারলাভ করা অনেক বাকী। সেই পথ চলার ক্ষেত্রে সৌরভের এই ছবি সমাজকে নতুন দিশা দেখায়। প্রসঙ্গত, সৌরভ সরকার গত এগারো বছর ধরে প্রায় চারটি ভাষায় সামাজিক ন্যায়ের উপর বহু চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেশব্যাপী গুণীসমাজে এবং শিক্ষাজগতে সুবিদিত।
মুক্তি পেলো সৌরভ সরকার পরিচালিত ডকুমেন্টারি ফিল্ম “ স্বার্থ সে পরে – ইলিমিটেবল সেলফ”
Date:
Share: