একটি আসন্ন বাংলা সিনেমা আনন্দী পরিচালনা করছেন কুণাল ভান্ডারী এবং প্রযোজনা করছেন জেজে প্রোডাকশন। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রজতাভ দত্ত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জিতেন্দর নাহার ও প্রিয়াঙ্কা রায়। আরও অভিনয় করেছেন দিলরাজ, অমিত কর্মকার, রভজিৎ ভৌমিক, রিয়া দাস, পায়েল দত্ত ও মৌমিতা অধিকারী।
গায়িকা অদিতি সিং শর্মা (বলিউড), রুবেল খোন্দকার (বাংলাদেশ) এবং চয়ন দে, গীতিকার রঞ্জু রেজা (বাংলাদেশ) এবং সুদীপ ভট্টাচার্য, l গল্প লিখেছেন জিতেন্দ্র কুমার নাহার এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন ইব্রাহিম শেখ লিখেছেন ইব্রাহিম শেখ।
আনন্দির সিনিপসিস
সিনেমার গল্পের মুলকেন্দ্রবিন্দু তিন জন নারী কে নিয়ে, তার মধ্যে মুখ্য চরিত্র আনন্দী , আনন্দী তার বাবার একটি মাত্র মেয়ে, আনন্দির মা মারা যাওয়ার পর থেকে আন্দন্দী নিজের হাতে বাবাকে এবং পুরো সংসার সামলায়,বাবার অনেক স্বপ্ন মেয়েকে ভালো পত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া, কিন্তু আনন্দি অন্যদিকে বিশাল কে ভালোবাসে,এবং বিয়ের জন্য বাবার সাথে কথা বলতে বলে বিশাল কে,কিন্তু বিশাল এর চাকরি স্থায়ী না থাকায় , বিশাল আনন্দি কে বলে চাকরি পেলেই বাবার সাথে দেখা করবে । অন্য দিকে আনন্দি বিশাল এর সম্পর্কের ব্যাপারে আনন্দির বাবা সনৎ বাবু জানতে পেরে খুব ক্ষুব্ধ হন, এই কারণে সনৎ বাবু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিশাল সেখানে চলে যায়, অবশেষে সনৎ বাবু বিশাল আনন্দির সম্পর্ক মেনে নেয়,এবং বিশাল চাকরি করতে চলে যায় ছয় মাসের জন্য বাইরে ।
ঐ দিকে আনন্দি সনৎ বাবু কে মধু র সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করে, কারণ আনন্দির বিয়ের পর ওর বাবা কে কে দেখবে,এই কথা সব সময় কুড়ে কুড়ে খেতো আনন্দি কে। কিন্তু সব বদলে যায় বিয়ের ছয়মাস পর । বিশাল আনন্দি এবং তার বাবকে গত তিনদিন থেকে ফোনে না পাওয়ায় সুদূর হায়দ্রাবাদ থেকে ছুটে আসে, এবং আনন্দির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে সনৎ বাবু আগেরদিন মারা গেছেন,এবং আনন্দি বাবার মৃত্যু কে মেনে নিতে পারেনি বলে কোথাও চলে গেছে ,তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশাল এর লড়াই শুরু এখান থেকে আনন্দি কে খোঁজার, বিশাল পুলিশ স্টেশন এ যায় এবং পুলিশ স্টেশন এর বাইরে আলাপ হয় রোহিত এবং রাহুল এর সাথে । এবং জানতে পারে আরো ও দুইজন মেয়ে রিমা এবং রিয়া একই দিনে কোথাও চলে গেছে, রাহুল এর কাছে পুরো ঘটনা জানতে চাওয়ায় রাহুল বলে রিয়া পেশায় একজন উঠতি অভিনেত্রী, কাল অডিশন দিতে বেরিয়েছিল,তারপর থেকে রিয়ার ফোন বন্ধ আসছে,এবং যোগাযোগ করতে পারছেনা ।অন্যদিকে রোহিত এর স্ত্রী রিমা র জন্মদিনের মাঝরাতে ঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, রোহিত সব কথা শুনে পুরো অঙ্ক টা মেলাতে পারে, কারণ সব কিছুর পেছনে একটা লোক থাকছেই, কারণ আনন্দির সৎ মামাও সে, রিয়া যে প্রোডাকশন এ অডিশন দিতে গেছিল সেই খানের প্রোডিউসার ও তিনি ছিলেন, ওই দিকে রোহিত এর বস ও উনি, এবং রিমার জন্মদিনেও উনি এসে ঝামেলা করেছেন পাওনা টাকার জন্য ।তাই বিশাল রোহিত রাহুল তিনজন একত্রিত হয়ে ফাঁদ পাতে সেই লোকটার জন্য, সে আর কেউ না ,উনি হলেন হরে কৃষ্ণ। হরে কৃষ্ণ অনেক প্রভাবশালী লোক, তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকায় তারা শুরু করে তাদের লড়াই তিন জন কে খুঁজে বের করার । অনেক খোঁজার পর জানতে পারে নতুন তিনটি মেয়ে কে মুন্নি বাই এর কুঠিতে দেখা যায় ।এই কারণে পতিতালয়ে তারা গ্রাহক হিসেবে সেজে যায় । সেখানে কি ওদের পাওয়া যাবে?না হরেকৃষ্ণ এর কাছে ধরা পড়ে যাবে?