আগামী লোকসভা নির্বাচন আবহে রাজ্য জুড়ে পুলিশের বদলীপর্ব হয়েছে এবং হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটও তার ব্যতিক্রম নয়।প্রায় ৩ বছর পুলিশ অফিসার পিন্টু মুখার্জি মঙ্গলকোট আইসি পদে আসীন ছিলেন। গত ২৬ শে জানুয়ারি সন্ধের সময় সরকারি নির্দেশিকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ আধিকারিক ও অফিসারদের ব্যাপক রদবদল প্রকাশ পায় । সেখানে মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখোপাধ্যায়কে সিআই, বি (দুর্গাপুর), এডিপিসি পদে বদলি করা হয়েছে । এই বদলীর খবরে মঙ্গলকোটের সিংহভাগ বাসিন্দাদের মনে বিষন্নতার ছাপ।আইনশৃঙ্খলা থেকে ক্রীড়া – সংস্কৃতি সবেতেই এলাকার মানুষের আপদে বিপদে থাকতেই তিনি।তাই মঙ্গলকোট যেন ‘বিষন্ন’। টানা তিন বছরের কর্মজীবনে বিভিন্ন সময় সামাজিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করেন তিনি । তাঁর হাত দিয়ে একদিকে যেমন উত্তপ্ত মঙ্গলকোট শান্ত হয়, ঠিক তেমনি নতুনভাবে জেগে ওঠে মঙ্গলকোট । কয়েকটি ভোট পর্ব এখানে মিটলেও কোনমতেই সেরকম গন্ডগোলের খবর দেখা যায়নি । বোম বারুদের আওয়াজ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়েছে মঙ্গলকোটে । বিভিন্ন সময় ফুটবল প্রতিযোগিতা, ভলিবল, ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজেও তার অগ্রণী ভূমিকা দেখা যায় । মঙ্গলকোট থানা চত্বর আধুনিকতার পাশাপাশি পুরাতন থানা এলাকাকে নতুনভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন । থানা সংলগ্ন লালডাঙ্গা ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম রূপকার হলেন পিন্টু বাবু । তাঁর সদিচ্ছায় নতুন রূপ নেয় লালডাঙ্গা ক্রীড়াঙ্গন । শুধুমাত্র সংস্কার নয় এলাকার যুবরা যাতে মাঠমুখী হয় সেই লক্ষ্যে তিনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন ।ভোট পরবর্তী হিংসার আগুন জ্বলেনি মঙ্গলকোটে।করোনা আবহে ভিক্ষুকদের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। আবার কখনো বা পথ কুকুরদের বিভিন্ন সড়কপথের মোড়ে বিশেষজ্ঞ রাধুনিদের রান্না পরিবেশন করেছেন তিনি।স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন -” বদলির বাস্তবতা কে তো মানতেই হবে। উনি মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে মঙ্গলকোটের হৃদয়ে চিরকাল রয়ে থাকবেন’।