কিশোরী রাই , তার বাবা, মা ও মাসি চলেছে উড়িষ্যার এক বিয়েবাড়িতে। হর্ষ রাইদের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। তার বিয়েতেই যাওয়া জাজপুরের বালীচন্দ্রপুরে। তথ্য বলে সত্তরের দশকে ওই অঞ্চলের ললিতগিরিতে খনন কার্য চলাকালীন বুদ্ধদেবের অস্থি দন্ত ও মহাস্তুপ উদ্ধার হয়। হর্ষ র জ্যাঠামশাই প্রাণতোষ ছিলেন সেই খনন বিভাগের কর্মী। তিনি উদ্ধার করা প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী প্রশাসনের কাছে জমা দেন। সেগুলির স্থান হয় মিউজিয়ামে।
তবে বুদ্ধদেবের একটি দাঁত তিনি বাড়ি নিয়ে আসেন। একটা ছোট্ট বুদ্ধ মূর্তির ভেতর দাঁতটি রেখে ঈশ্বরের আসনে রেখে নিয়মিতআরাধনা করেন। কিন্তু প্রাণতোষের পুত্র সেই মূর্তির উপাসক হলেও আর্থিক লাভের আশায় মূর্তিটি বেচতে গিয়ে খুন হন। প্রাণতোষের ভাই বদ্রিকারছেলে হর্ষও এখন বিয়ের খরচ তুলতে চায় মূর্তিটি বেচতে। কিন্তু তার কলকাতার বন্ধু বাবুদা হর্ষ আর তার বাবা ও জ্যাঠা মশাইকে ধমকি দিয়েছে । বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথেই রাই ও তাঁর পরিবার জানতে পারে আগের রাতে মূর্তি খোয়া গেছে , জ্যাঠামশাই খুন হয়েছেন। তবে মূর্তি খোয়া যায়নি। সিন্দুকে রাখা এক ধাঁধার চিরকুট বদ্রিকা পুলিশকে দেন। প্রাণতোষ ভেবেই রেখেছিলেন ভবিষ্যতে মূর্তি নিয়ে গোল শুরু হবে।তাই মুর্তিটি এমন কোনো স্থানে লুকিয়ে রাখেন যার হদিশ আছে ওই চিরকুটে। গন্তব্য স্থলে পৌঁছে রাই আর তার মাসি নীলা শখের গোয়েন্দাগিরি শুরু করে। কলকাতা থেকে রাইকে বুদ্ধি দেন ঠাকুমা। হর্ষ র কলকাতার যে পরিচিত বাবুরা ধমকি দিয়েছিল ,সন্দেহ করা হয়েছিল হয়ত সেই জ্যাঠামশাইকে খুন করেছে সে নিজেই খুন হয়। গল্পের সাসপেন্স বাড়ে।
রাই তদন্ত করতে গিয়ে নিজেও কিডন্যাপ হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তোজো নামের ছোট্ট মেয়ে রাইয়ের সূত্র ধরে ছবির এক রহস্যজনক চরিত্র কার্তিক কুমার রাইকে উদ্ধার করেন। জানা যায় তিনি গোয়েন্দা। অপরাধীরা কি ধরা পড়ে? জানতে চোখ রাখতে হবে বড় পর্দায়। জুনের শেষ সপ্তাহে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। শনিবার প্রেস ক্লাবে ছবির কাহিনী চিত্রনাট্য গীত রচনা প্রযোজনা ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত ব্যানার্জি সাংবাদিক সম্মেলনে ছবির ট্রেলার ও গান মুক্তি ঘটালেন। উপস্থি ছিলেন ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছিলেন সংগীত পরিচালক অতনু দাশগুপ্ত। একটি মাত্র থিম সং । গেয়েছেন সৈকত মিত্র। অভিনয়ে আছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,কল্যাণী মণ্ডল, সুদীপ চক্রবর্তী , শ্রাবণী,, রাজু মিত্র, সায়নি অধিকারী , বাসুদেব দাস, সুশান্ত অধিকারী, শিবু কুন্ডু, লাল্টু মার্জিত, সুদীপ্ত চ্যাটার্জি, পীতাম্বর বারিক, কৃষ্ণা কর, প্রিয়াঙ্কা সরকার , টি কে হাজরা, শ্রীময়ী চ্যাটার্জি, মঞ্জুরী অধিকারী এবং রাই চরিত্রে পরিচালক সুদীপ্ত ব্যানার্জির আত্মজা সুচন্দ্রিমা ব্যানার্জি ও কার্তিক কুমার গোয়েন্দা চরিত্রে পরিচালক স্বয়ং সুদীপ্ত ব্যানার্জি। অনেক বাধা বিপত্তির মাঝে ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছেন শ্যামল ব্যানার্জি।