কলকাতার যোগেশ মাইম একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার কলকাতা অধিবেশন। ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচরে বাংলা ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সারাদিনব্যাপী বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা, গান, নৃত্যনাট্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। এছাড়াও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত গুণীজনদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাষা শহীদ কমলা ভট্টাচার্যের ভাইজি শ্রীমতি বর্ণালী ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শ্রী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শ্রী সুমন ভট্টাচার্য, নেতাজির মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বসুর নাতনি শ্রীমতি তপতী ঘোষ, বিশিষ্ট নেতাজী গবেষক ও লেখক ডক্টর জয়ন্ত চৌধুরী, বরাক উপত্যকার বিধায়ক শ্রী কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও নেতাজি গবেষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং তথ্যচিত্র পরিচালক মাসুদ করিম, অল বি টি আর বেঙ্গলি ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হরেন দাস, ভাষা শহীদ স্টেশন শিলচর স্মরণ সমিতির সভাপতি ডক্টর রাজিব কর, উত্তরপূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার কার্যকরী সভাপতি নিহার রঞ্জন পাল, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জ্যোতি বিশ্বাস এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। বাংলা পক্ষের তরফে উপস্থিত হন শ্রী গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
আয়োজকদের তরফে উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা বলেন ২১শে ফেব্রুয়ারির মতোই গুরুত্বপূর্ণ ১৯শেষ মে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বোধিসত্ত্ব তরফদার ও মৃন্ময় ব্যানার্জি আগামী প্রজন্মের কাছে শিলচরের ভাষা শহীদ দিবসের বার্তা আরো বেশি আকারে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ রাখেন। বিশিষ্ট জনেদের বক্তব্যে শিলচরের ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উঠে আসে বারবার। অনুষ্ঠানের প্রথমেই ভাষা শহীদদের পুষ্প অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই শহীদ তর্পনের সময়ে বর্ণালী ভট্টাচার্য আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন কলকাতায় এই অনুষ্ঠান হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ পবিত্র সরকার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান এই প্রজন্মের অত্যন্ত পরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর অনির্বাণ দাস। সবশেষে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর কন্ঠে “আমি বাংলায় গান গাই” অনুষ্ঠান এক অন্য মাত্রায় পৌঁছয়।