স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা এবং রোগী শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রেখে, শীর্ষস্থানীয় মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল, মেদান্ত, ভাস্কুলার সার্জারির দুনিয়ায় সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে অঙ্গচ্ছেদ এবং স্ট্রোক রোধে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। রাজীব পারেখ, চেয়ারম্যান, পেরিফেরাল ভাস্কুলার এবং এন্ডোভাসকুলার সায়েন্সেস, মেদান্ত, গুরুগ্রাম এর নেতৃত্বে এই ইভেন্টটিতে উদ্ভাবনী চিকিত্সার পদ্ধতি এবং রোগীর চিকিৎসা সহজ করে তুলতে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক মানুষের পায়ের সংক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত সাধারণ, যা অঙ্গচ্ছেদের কারণ হতে পারে। তবে সঠিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই অঙ্গচ্ছেদ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। পায়ে রক্ত সরবরাহ অবরুদ্ধ হয়ে গেলে, “লেগ অ্যাটাক” বা “ব্রেইন অ্যাটাকের” এর মতো “লেগ অ্যাটাক” সৃষ্টি করে যা স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতের কারণ হতে পারে। লেগ এবং ব্রেইন অ্যাটাক প্রতিরোধ করা গেলে তা যেমন জীবন রক্ষা করতে পারে, তেমনি গুরুতর জটিলতা এড়ানো যেতে পারে। পেরিফেরাল ভাস্কুলার আর্টারি ডিজিজ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো নানা কারণে সারা দেশে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মতো অঞ্চলে অনেক মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন। ভারতে অসংক্রামক রোগের বোঝা সম্পর্কিত অ্যাসোচ্যাম এর ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুসারে, জাতীয় গড়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (NCD) বা অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশেষত, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (পিএডি) এর দুটি প্রধান কারণ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবের হার পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের হার বা হাইপারটেনশনে ভোগা রোগীর সংখ্যা শতাংশের হিসাবে ৫.১৩%, যেখানে জাতীয় গড় ৩.৬%। একইভাবে, রাজ্যে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব ৩.৫৩%, যেখানে জাতীয় গড় ২.৮৫%। পেরিফেরাল ভাস্কুলার আর্টারি ডিজিজ এবং এর কারণগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লেও, ভাস্কুলার ডিজিজের প্রাদুর্ভাব এবং প্রাথমিক অগ্রগতি প্রতিরোধের সুবিধাগুলি সম্পর্কে জনসাধারণকে আরও শিক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডাঃ রাজীব পারেখ, ভাস্কুলার সার্জারির দুনিয়ায় রূপান্তর ঘটানো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত AI গাইডেড পেনামব্রা সিস্টেম, যা ফুসফুসের ব্যার্থতা রোধ করতে জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুস থেকে অপসারণ করে; জেনিকুলার আর্টারি এম্বোলাইজেশন, হল একটি ন্যূনতম ইনভেসিভ প্রক্রিয়া যা ফোলা অংশে রক্ত প্রবাহ হ্রাস করে দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা হ্রাস করে। আবার প্রোস্টেট আর্টারি এম্বোলাইজেশন, যা সীমাবদ্ধ রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে প্রোস্টেটকে সঙ্কুচিত করার মাধ্যমে বিনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাজিয়া (BPH) এর চিকিৎসা করে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই অগ্রগতিগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ভাস্কুলার ডিজিজ চিকিত্সার উন্নতি করেছে। ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসায় ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনী খুলে দিতে প্রাথমিক পর্যায়ে বেলুনিং বা স্টেন্টিং, পা কেটে ফেলা এবং গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে ফলে রোগীর চিকিৎসার মাণ বাড়ে। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং ন্যূনতম ইনভেসিভ কৌশলগুলি রোগীর যত্নের সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের জীবনের মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয়।
ডাঃ রাজীব পারেখ, চেয়ারম্যান, পেরিফেরাল ভাস্কুলার অ্যান্ড এন্ডোভাসকুলার সায়েন্সেস, মেদান্ত, গুরুগ্রাম বলেন, “ভাস্কুলার রোগের চিকিত্সায়, বিশেষত ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। পেনামব্রা সিস্টেম এবং জেনিকুলার আর্টারি এম্বোলাইজেশনের মতো কৌশলগুলি রোগীর চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি নিশ্চিত করেছে। মানুষকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই অগ্রগতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান সরবরাহ করা ও দ্রুত রোগ নির্নয় করা সর্বোত্তম উপায়। এর সঙ্গেই, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও ন্যুনতম ইনভেসিভ টেকনিক রোগীর দ্রুত সেরে উঠা ও জীবনের গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে”।
মেদান্তের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মিলিতভাবে, এই জাতীয় উদ্যোগগুলি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখা এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার প্রতি হাসপাতালের দায়বদ্ধতাকে তুলে ধরে। এই প্রচেষ্টাগুলি সহানুভূতি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার সাথে ব্যতিক্রমী চিকিৎসা সেবা প্রদানের সামগ্রিক লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে, এবং বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাকে সকলের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসে।
মেদান্ত মাল্টি স্পেশালিটি OPD সুবিধা এখন কলকাতায় আরবি ডায়াগনস্টিক লেক টাউন এবং ইস্টার্ন ডায়াগনস্টিকস আলিপুরে পাওয়া যাচ্ছে। আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে ৭০০৩৫৫০২৩২ নম্বরে ফোন করুন।