আরজি করে চিকিৎসক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বেআব্রু হয়ে গেছে হাসপাতালের প্রশাসন। মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও অভিযোগ যখন উপচে পড়ছে, তখন সরকার নিজে থেকেই এক তদন্ত শুরু করে দিল।
সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম তদন্ত করে দেখতে একটি চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করা হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সমস্ত হিসাব ওই কমিটি খতিয়ে দেখবে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বলার অপেক্ষা রাখে না, এই তদন্ত আসলে শুরু হতে চলেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এবং সরকার যে ভুল শুধরোতে চাইছে সেই অভিপ্রায়ও স্পষ্ট। আরজি করে শিক্ষার্থী চিকিৎসককে হত্যার পর পরই ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু চার ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ করা হয়। তাতেই অনেকের ধারণা হয় যে সন্দীপ ঘোষকে প্রশ্রয় দিচ্ছে নবান্ন।
অনেকের মতে, এই ধারণা ভাঙতেই এবার আরজি করের আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কারণ, যে সময়ের হিসাবনিকেশ খতিয়ে দেখার কথা বলা হচ্ছে তখন সন্দীপ ঘোষই ছিলেন সর্বেসর্বা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অনেক অনিয়ম করেছেন। হাসপাতালের অতিথিশালাকে এক প্রকার মোচ্ছবের জায়গা বানিয়ে রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।