সামনে শারদোৎসব ।ধীরে ধীরে দিন এগিয়ে আসছে বাঙালির তথা দেশের অন্যতম বড় উৎসবের। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শহরে। এরই মধ্যে পুজোর গানও।আসছে। পুজোর আগে পুজোর নতুন বাংলা গান গাইলেন রূপঙ্কর বাগচী। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ইন্টারন্যাশনাল টুরিজিম ডে উপলক্ষে।”তোমার জন্য পাহাড়ের গান” প্রকাশিত হলো রূপঙ্করের কন্ঠে । সুরকার ও গীতিকার সুদীপ্ত চন্দ। পুজোর ছুটিতে সামনে পাহাড় ঘুরতে যাওয়া বাঙালির এবার উপরি পাওনা রূপঙ্করের কন্ঠে পাহাড়ের গান। পাহাড় রূপঙ্করেরও খুব প্রিয়। সুযোগ পেলেই পরিবার নিয়ে চলে যান ঘুরতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত নর্থ বেঙ্গলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। হোটেল, হোম স্টে-এর বুকিং বাঙালি ভ্রমণ পিপাসুদের প্রায় সাড়া। এবার শীতের চাদর গায়ে মুড়ে পাহাড় বেড়ানোর মরসুম শুরু হোক রূপঙ্করের গানে, গানে।
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামের মধ্যে যারা সান্দাকফু যান, তারা জানেন চিত্রে এর কথা। এক অসাধারণ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রাম চিত্রে। মানেভন্জন এর পর অপরূপ পাহাড়ি উপত্যকার বিস্তার। সবুজ ঘাসে ঢাকা উপত্যকা, মাঠে চড়ে বেড়ান চমড়ি গাই, অতিথি বৎসল গ্রামবাসী গানের সুরে, কথায় সেই সরলতার রেশ।
লকডাউন এর পর, পর ঘরবন্দি মানুষকে মুক্তির স্বাদ দিতে সুদীপ্ত চন্দ বানিয়েছিলেন ট্রাভেল সং “চলো হারাই”, গেয়েছিলেন রূপঙ্করই। কিন্তু এবার পাহাড়ের গান গাইলেন শিল্পী।একটা বেড়ানোর গান, যাকে বলে ভ্রমণ সংগীত।গানে গানে ঘুরে আসতে কোনও বাধা তো নেই। রূপঙ্কর এর গানের জগতে পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুদীপ্ত বানিয়েছিলেন পঁচিশের গান।রূপঙ্কর-এর কথায়, “অনেকদিন পর একটা অন্য রকমের গান গাইলাম। গানটা শুনতে, শুনতে মনে, মনে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়া যায়। খুব সুন্দর গান হয়েছে। সুদীপ্ত এর আগেও গান বানিয়েছেন আমার জন্য। ওঁর সঙ্গে অনেক কাজই আগে করেছি। তবে গানটা খুব সুন্দর লিখেছেন ও সহজ, সরল সুর। আশা করি এই ট্রাভেল সংটা সবার ভালো লাগবে।”সুদীপ্ত চন্দ বললেন, “এটা আমাদের পুজোর গান। পাহাড়ে বেড়াতে যারা ভালোবাসেন, বিশেষ করে এই গানে তারা পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার আমেজ পাবেন।” মিউজিক ভিডিয়ো নির্দেশনায় সুদীপ্তর নিজের। গানটা নিবেদন করেছেন সুরজিৎ কালা, সুনীল প্রামানিক ( জে. পি. ট্রাভেলস )। সঙ্গীত আয়োজনে শুভঙ্কর চ্যাটার্জি। সিনেমাটোগ্রাফি সৌরভ ব্যানার্জি,হাবিব এর।