শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কে নতুন করে পরিচয় করানোর কোন প্রয়োজন নেই। দেশের মধ্যে অন্যতম এই প্রাচীণ ফুটবল ক্লাব সব সময় নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠে। এই ক্লাবের অন্যতম বিশেষত্ব হল ছেলেদের ফুটবল দলের সাথে সাথে মেয়েদের ফুটবল দলের দিকেও বিশেষ নজর দেয়। দেশের কোনো ফুটবল ক্লাব এ পর্যন্ত যা করতে পারেনি,সেই ফুটবলার গড়ে তোলার বৃহত্তর কর্মকান্ডকে রূপায়িত করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাব স্কুল অফ এক্সেলেন্স’।
যেখানে থাকবে বিশ্বমানের ফুটবল পরিকাঠামো। শিক্ষার্থী ফুটবলারদের পড়াশোনার জন্যও থাকছে অতিরিক্ত নজরদারি। দক্ষ কোচেদের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্হ্যের বিকাশকে প্রশস্ত সরণিতে এগিয়ে দিতে থাকবেন দুর্দান্ত মেন্টররা। ফুটবলের কারুশিল্প, পড়াশোনার মেধা আর সামাজিক ও স্বাভাবিক দর্শনের প্রতিফলনে ওদের সামনে ফুট উঠবে এক নতুন দিগন্ত। যেখানে থাকবে বিদেশী ফুটবল ক্লাবগুলোর প্রতিচ্ছবি। যেভাবে স্পেনের লা মাসিয়া থেকে উঠে আসেন লিওনেল মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তারা। আয়াক্স ফুটবল আকাডেমির য়োহান ক্রুয়েফ বা স্পোর্টিং সিপি থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লুই ফিগো, ব্রুনোরা উঠে এসেছিলেন।
স্বপ্নকে বাস্তবের চারণভূমিতে ছড়িয়ে দেওয়ার যে সাহসী পদক্ষেপ তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই চলছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফুটবল স্কুলে।
এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বুনিয়াদি স্তর থেকে প্রতিভা অন্বেষণের কাজকে নীবিড়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই প্রয়াসকে একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবই সাহসিকতার সঙ্গে বাস্তবায়িত করতে চলেছে। এ দেশে একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবই এমন স্বপ্নের উড়ান তৈরি করছে। সেই উড়ান, আগামীর ফুটবলারদের দক্ষ সওয়ারি করার রানওয়েতে টেক অফের অপেক্ষায় কাউন্টডাউন পর্বে রয়েছে। যার পাইলট প্রজেক্টের পাইলট লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
মধ্য কলকাতার ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে ১১জুলাই শুক্রবার ছিল চাঁদের হাট। বাংলা তথা ভারতের আইকন সৌরভ গাঙ্গুলি, মেয়েদের ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির অন্যতম সদস্য ঝুলন গোস্বামী। এছাড়া রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ক্লাব সভাপতি মুরারিলাল লোহিয়া, সচিব রূপক সাহা, ক্রিকেট সচিব সঞ্জীব আচার্য, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি, কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলেন। ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একঝাঁক প্রাক্তন ও বর্তমান ফুটবলার ও ক্রিকেটার।
স্কুল অফ এক্সেলেন্স নিয়ে প্রত্যেকের গলায় ছিল আগামীদিনের জন্য শুভকামনা। সেইসঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ব্রাত্য বসু মনে করেন এখান থেকেই ভবিষ্যতের তারকা হয়ে উঠবে এই উদীয়মান ফুটবলাররা।