সল্টলেকের সিটি সেন্টারের কাছে বিলাসবহুল হোটেল দি গোল্ডেন টিউলিপ প্রতি বছরের মতো এবারের পুজোতেও পেট পুজোর ডালি সাজিয়েছি সব ধরনের অতিথিদের কথা মাথায় রেখে। মাত্র ৮২৫ টাকা থেকে ১১৭৫ টাকায় থাকছে রাজকীয় পদ। মকটেল থেকে পেঁয়াজ পোস্তর বড়া। ডাল রায়বাহাদুর থেকে কচুরি, ভাজা মশলার আলুরদম পোলাও । শেষ পাতে মধুরেন সমাপয়েৎ। দ্বিতীয় তালিকায় আছে ৯২৫ টাকার থালি।। তালিকায় যুক্ত হয়েছে মটর পনির, দুরকমের ডেজার্ট। তৃতীয় তালিকায় যুক্ত হয়েছে নারকেল পোস্ত বড়া, দুটি এঁচোরের কাটলেট, ফুলের বড়া, মোচার চপ, ফুল কপির সিঙ্গাড়া, ছানার পুঁটলি পাতুরি। ধরা যাক এই তালিকা অষ্টমীর দুপুর রাতের নিবেদন।
কিন্তু মাছে মাংসে ছাড়া যাঁদের রোচে না তাঁদের জন্য ৯৫৫ টাকার থালিতে আছে মকটেল, হাঁসের ডিমের ডেভিল , ডাল রায়বাহাদুর , ভেটকি ফ্রাই,পোলাও, মটর পনির, কষা মাংস, দু রকমের ডেজার্ট। এবার একটু খরচে দুটি মাছের ডিমের বড়া, দু পিস মাংসের টিকিয়া,২ পিস গন্ধরাজ ফিশ টিক্কা, দু পিস চিংড়ি ভাজা,২ পিস তোপসে ভাজা, চার পিস ভুনা গোস্ত। যাঁরা রসে বশে থাকতে চান তাঁদের জন্যও আছে দেশি বিদেশি পেগ।লাঞ্চ বা ডিনারের পাশাপাশি টুকটাক দিয়ে ফুল মস্তি করার অসাধারণ শৈল্পিক সঙ্গত।
তৃতীয় অধ্যায় মূল্য মাত্র ১২৭৫ টাকা। এই তালিকায় থাকছে মকটেল, হাঁসের ডিমের ডেভিল, ডাল রায়বাহাদুর, মটর পনির, কষা মাংস, ভেটকি ফ্রাই, পোলাও শেষপাতে দু রকমের মিষ্টি। যাঁরা পছন্দমত মেনু বেছে খেতে চান তাঁদের জন্য থাকছে সেরা নিবেদন কাঠকয়লার ঢিমে আঁচে রোবাস্ট ম্যারিনেশনে রোস্টেড ল্যাম্ব লেগ। থাকছে স্টাফ মুঘলাই তন্দুরি চিকেন। পেট কাটলে মিলবে ডিম। আর মৎস্যপ্রেমীদের রসনা তৃপ্তিতে রিং পেয়াঁজ আর সবুজ লঙ্কার বিছানায় বাঙালি মশলায় জারিত ভেটকি। কাসুন্দি দিয়ে চার পিস্ ইলিশ ভাজা। জিভকে বৈচিত্র্য দিতে থাকছে চিজ ভরপুর ধনে পাতা দিয়ে ভেটকি মাছ। পানীয়তে বেছে নিতে পারেন গন্ধরাজ লেবুর শরবত বা কিউই ব্লিস। প্রথম ইনিংসে মুচমুচে কুমড়ো ফুলের বড়া, রসনাময়ী মোচার চপ , সুস্বাদু নারকেল বড়া, ম্যানহাটন এগ ডেভিল, তোপসে ফ্রাই , মাটন শিক কাবাব। সঙ্গত করতে হাজির থাকবে পাঁচ রকমের স্যালাড ও চাটনি। ফ্রায়েড পাঁপড় ও ডিসকো পাঁপড়।
মুখ্য তালিকায় মিলিমিশি ভাজা, শুক্তনী, ছানার মালাইকারি, ভাজা মশলার আলুরদম, সোনালি মুগ ডাল, ঢাকাই হিংয়ের কচুরি, মুক্তমচিত বাসমতি, পনির পোলাও রাজনন্দিনী,ব্যাটারি নান, ভেটকি ভাজা, জমিদারি ঘরানাররেয়াজি খাসির কারসাজি, গোয়ালন্দ স্টিমারের মুরগি ঝোল, চিংড়ির পুঁটলি। শেষপাতে বেকড রসগোল্লা, ক্ষীরের গজা, মিষ্টি দই বাটার স্কচ আইসক্রিম, চকলাভা। সপ্তমী পেরিয়ে অষ্টমীতে আকর্ষণ মৌরলা মাছের বড়া থেকে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান চিকেন কাটলেট। ধোকার ডালনা, আলু ফুলকপির ডালনা, লতি পটলের স্বাদ, ছোলার ডাল, সোনায় মাখা মুগেরে ডাল, ফুলকো লুচি, রাধাবল্লভি , বাসমতি, বাটার নান, সর্ষে ভেটকি, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান চিকেন ডাকবাংলো , মাটন রোগানজোস, বড়ি দিয়ে বরিশালী বাটি চিংড়ি। শেষ পাতে মিষ্টি দই , ছানার পায়েস, রসবতী গুলাবজাম, ভ্যানিলা আইসক্রিম উইথ এইচ সস, ব্লু বেরি প্যাস্ট্রি। নবমী তিথির নিবেদনে থাকছে আল্যানের মাটন কাটলেট,মাছির রোল। পাতায় মোড়া কুঁচো চিংড়ি আর মাছের পাতুরি, ধনেপাতা কাঁচালঙ্কা মুরগি , রাজ বাড়ির মাংস। শেষপাতে সীতাভোগ , লাইভ রাবড়ি জিলেপি, শক্তিগড়ের ল্যাংচা , ম্যাংগো ম্যুজ।