বয়সের নিরিখে হাওড়া শহর কলকাতার চেয়েও প্রাচীন। সেই শরীর দ্বারপ্রান্তে মাত্র দুবছর আগে গড়ে উঠেছের থালিবান কিচেন। বার্নাডি বলেছিলেন মানুষের সবচেয়ে ভালোবাসার বস্তু খাদ্য। আর সেই একরাশ পদ নিয়ে বঙ্গসন্তান যুগল এক দম্পতি সৈকত মণ্ডল ও মধুমিতা বারিক হৃদয়ের শেষ ভালোবাসা নিংড়ে গড়ে তুলেছেন এই থালিবান কিচেন। সারার বছর সেখানে মেলায় চা থেকে মকটেল। মেলে ভারতীয় থেকে মোগলাই ,মোগলাই থেকে চাইনিজ মুখরোচক খাদ্য সম্ভার। স্বয়ং মণ্ডল একজন চিত্রশিল্পী। নিজের হাতে সবুজের সমারোহে গড়েছেন অন্দর সজ্জা।অর্থাৎ পরিবেশ রচনা করেছেন স্বকীয় শৈল্পিক সুষমা।
এবার পুজোর দিনগুলিতে পুজোর পেটপুজো উৎসবের আয়োজন হয়েছে।আলাকার্ত পর্যায়ে মিলবে আওয়াধি বিরিয়ানি থেকে কলকাতা বিরিয়ানি। এখানকার বৈশিষ্ট্য এঁদের বিরিয়ানিতে নেই কোনো ফুড কালার। নেই কোনো উদ্ভিদজাত তেল। খাঁটি ঘি আর ভারতীয় মশলার মিশ্রণে এখনকার বিরিয়ানির স্বাদ ও গন্ধ এক বাড়তি মাত্রা দেয়। চিকেন মটন শুধু নয় ফিস টিক্কা ও পনির বিরিয়ানিও মিলবে।এখানকার বিশেষ আকর্ষণ মহারাজা রোল। একটি রোল তিনজনের জন্য যথেষ্ট। ২৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারিনেট করা চিকেন বা মটন কাবাব ময়দার বিশেষ ময়ানে খাস্তা পরোটার আচ্ছাদনে মশলার পরিমিত ব্যবহারে রোলের স্বাদ না চেখে দেখলে সেটা খাদ্যবিলাসীদের কাছে হবে বড় পাওনা। একমাত্র এখানেই পাবেন পোলাওয়ে বিরিয়ানির ঘ্রাণ। একদম নিজস্ব সৃষ্টি ফিউশন দুনিয়ায় একটি বিপ্লব বলা যায়। যাঁরা চিনা খাবারে মজেন তাঁদের জন্য আছে চিলি চিকেন নুডলস্, সেজুয়ান নুডলস্, হাক্কা নুডলস্। চিলি গার্লিক রাইস, সিজুয়ান রাইস, হাক্কা রাইস পর্ন নুডলস্ ও রাইস । মিলবে রকমারি মোমো। নিরামিষ , আমিষ যেমনটা চাই তেমন হরেক কাবাব।।এই বছরের পুজোয় যাঁরা কলকাতায় পুজো দেখেন তাঁদের সৈকত মণ্ডল জানিয়েছেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর পেরিয়ে আসুন হাওড়ার পুজো দেখতে। এর ফাঁকে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের উল্টোদিকে দুপুরের লাঞ্চ , বিকেলের টিফিন বা রাতের ডিনার সারুন থালিবান কিচেনে। সকাল ১১ টা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত পাবেন মনের মত খাবার। পাবেন হরেকরকম কাবাব। গ্রাহক সন্তুষ্টি এখানকার একমাত্র প্রাপ্তি।